শিরোনাম
Passenger Voice | ১১:০১ এএম, ২০২২-০৫-১৬
কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো। নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণপ্রবাহ কিছুটা কমলে ব্যবসা পুনরুদ্ধারে নামে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এক্ষেত্রে নতুন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত। যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যেও লোকসান কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়েছে এমিরেটস এয়ারলাইনস। তবুও গত মার্চে সমাপ্ত অর্থবছরে দুবাইয়ের উড়োজাহাজ সংস্থাটির লোকসান দাঁড়িয়েছে ১১০ কোটি ডলার। খবর সিএনবিসি।
বিশ্বের বৃহত্তম দূরপাল্লার উড়োজাহাজ সংস্থা এমিরেটস। কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পাশাপাশি উড়োজাহাজ সক্ষমতা বাড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমিরেটসের আয় ৯১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬১০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর আগের বছর ৫৫০ কোটি ডলার লোকসান করেছে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে এমিরেটস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আহমেদ বিন সাইদ আল মাকতোম বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরটি ছিল ব্যবসা পুনরুদ্ধারের বছর। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মুনাফায় ফেরার প্রত্যাশা রয়েছে আমাদের। লক্ষ্য পূরণে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। একই সঙ্গে জ্বালানির ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি, নতুন কভিডের ধরনসহ অনিশ্চিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকেও নজর রয়েছে আমাদের।
চলতি বছরের মার্চের শেষ নাগাদ ১৪০টি গন্তব্যে ফ্লাইট পুনরায় চালু করেছে এমিরেটস। তবে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমূল্য। এ বছর জ্বালানি তেলের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে তা কভিডের অভিঘাতে আক্রান্ত উড়োজাহাজ সংস্থাটির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এমিরেটসের জ্বালানি তেলের পেছনে ব্যয় দ্বিগুণ হয়ে ৩৮০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছে এমিরেটস।
এ বিষয়ে এমিরেটসের শেখ আহমেদ বিন সাইদ আল মাকতোম বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে অনেক বেশি প্রভাবিত হচ্ছে উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম আরো ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পেছনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেরও উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। এমিরেটসের পরিচালন ব্যয়ের ২৩ শতাংশই খরচ হয়েছে জ্বালানি তেলের পেছনে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ ২০২০-২১ অর্থবছরে এ হার ছিল মাত্র ১৪ শতাংশ।
এদিকে এমিরেটস গ্রুপের ব্যবসা নাটার বার্ষিক লোকসান দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার। এমিরেটস গ্রুপের আয় ৮৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৮১০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। বছর শেষে প্রতিষ্ঠানটির নগদ উদ্বৃত্ত ৩০ শতাংশ বেড়ে ৭০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। শেখ আহমেদ বিন সাইদ আল মাকতোম বলেন, কভিডকালীন সরকারের জরুরি ৪০০ কোটি ডলারের কিছুটা ফেরত দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.